মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে ছাত্রদলের ওপর গুলি বর্ষণ ও ককটেল হামলা: জুয়েল বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী ||
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছাত্রদলের শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পলাশ থানার সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের শোডাউন চলাকালে ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি খসরু চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী অতর্কিতে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে। এতে ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সময় সিএনজি চালক সোহেল মিয়াসহ অন্তত ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে পুলিশেরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, “স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছে, আজ সেই সব ত্যাগী ছাত্রনেতাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে সন্ত্রাসী জুয়েল ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।”
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. বাছেদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ, ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামান, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফজলুর কবির জুয়েল সমর্থিত গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় রাতেই জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলসহ ৯ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন।